জৈদুল সেখ, বড়ঞা
প্রথমে ভালোবাসা থেকে বিয়ে তারপর পণের দাবিতে জামাইয়ের হাতে খুন শ্বাশুড়ি। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটেছিল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার অন্তর্গত সুন্দরপুর গ্রামে। ঘটনায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত অভিযুক্তের স্ত্রীও। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ডালিয়া বিবি। আহত সাহিনা বিবিধ বর্তমানে বড়ঞা গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷ ঘটনায় অভিযুক্ত আবুল বরকত মিসবাউল সালেহিকে গ্রেপ্তার করেছিল বড়ঞা থানার পুলিশ।
অভিযুক্ত আবুল বরকত মিসবাউল সালেহিকে শনিবার ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে কান্দি মহকুমা আদালতে পেশ করে বড়ঞা থানার পুলিশ। দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতকে কান্দি মহকুমা আদালতে পেশ করলে কান্দি মহকুমা আদালতে বিচারক সৈকত সরকার সমস্ত দিক বিচার করে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন কান্দি মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী শুভ্রকুমার মিশ্র।
উল্লেখ্য বছর চারেক আগে সাহিনা খাতুন নিজের গ্রাম সুন্দরপুরের আবুল আবুল বরকত মিসবাউল সালেহি সঙ্গে প্রথমে ভালোবাসা পরিবারের তরফে মেনে না নেওয়ায় পালিয়ে বিয়ে করে। তার পর থেকেই সাহিনার পরিবার জামাইয়ের পরিবারের সাথে কোনও সম্পর্ক রাখত না। তবুও মিসবাউলের সঙ্গে সাহিনার গত ২ বছর আগে মনোমালিন্য হতে থাকায় মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে শ্বশুর পক্ষ থেকে জামাই হিসাবে আবুল বরকত মিসবাউল সালেহিকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু গত এক বছর ধরে মোটা টাকার পণের দাবি করতে থাকে জামাই মিসবাউল বলে অভিযোগ করেছেন স্ত্রী সাহিনা বিবি। সাহিনা বিবি আরও জানান নির্দিষ্ট কাজের টাকা দেওয়া হবে কিন্তু কাজ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল কিছুদিন আগে এরপর থেকেই খারাপ ব্যবহার শুরু করেছিল। ফের জটিলতার সৃষ্টি হয়। তার জেরেই এই ঘটনা বলে দাবি পরিবার সহ প্রতিবেশীদের।
অভিযুক্ত মিসবাউলের স্ত্রী সাহিনা বিবি জানান শুক্রবার পাঁচটার পর বাড়ছে এসে টাকা নিয়ে মায়ের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করে এরপর প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডালিয়া বিবির ওপর চড়াও হয়, এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়। তাকে ধরতে গিয়ে সাহিনা বিবি নিজেও গুরুতর আহত হয়। তাকে বড়ঞা গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বর্তমানে৷। একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে তাদের।
ঘটনায় অভিযুক্ত আবুল বরকত মিসবাউল সালেহিকে গ্রেফতার করেছিল বড়ঞা থানার পুলিশ। শনিবার তাকে আদালতে তোলা হয় এবং তদন্তের স্বার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে দশদিনের পুলিশ হেপাজতের আবেদন জানালে কান্দি মহকুমা আদালতের বিচারপ্রতি পাঁচ পুলিশ হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেন।